বাংলাদেশের অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বান্দরবান, যা প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি স্বর্গ। এই জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত মাইতা তৈম—একটি অপরূপ পাহাড় যা প্রকৃতির অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। মাইতা তৈম পাহাড়টি প্রায় ১৩৪০ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট, যা আপনাকে নীরবতা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে ডুবিয়ে দেবে। পাহাড়ের নিচে দিয়ে সাপের মতো বয়ে চলেছে মাতামুহুরী নদী। নদীর পাড়ে বিস্তৃত সবুজ ফসলের ক্ষেত, পাখির ডাক, আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে ছড়িয়ে থাকা আদিবাসী গ্রামগুলো যেন একটুকরো কল্পনার রাজ্য।
মাইতা তৈমের আদিবাসী জীবনযাত্রা
এই পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায় যেমন ত্রিপুরা, মারমা, মুরংরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে রয়েছে। তারা পাহাড়ের সঙ্গে একাত্ম হয়ে জীবনযাপন করে। তাদের সরলতা, আতিথেয়তা, এবং প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এখানকার পরিবেশকে আরও অনন্য করে তুলেছে। পাহাড়ি গ্রামগুলোতে আদিবাসীদের নিজস্ব ঘরবাড়ি, ধানের জমি, আর জীবনের ছন্দ—সবকিছু মিলিয়ে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা দেয়।
পাহাড়ি সৌন্দর্যে একদিনের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা
মাইতা তৈমে ওঠার পথ বেশ রোমাঞ্চকর। পাহাড়ি পথে ট্রেকিং করতে করতে চারপাশের প্রকৃতির নিঃশব্দ ডাক শুনতে পাবেন। মাঝে মাঝে জুম চাষের ক্ষেত আর ছোট ছোট জলপ্রপাতের দেখা মিলবে। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে চারপাশে তাকালে মনে হবে যেন পুরো বান্দরবান আপনার চোখের সামনে উন্মুক্ত।
কেন মাইতা তৈমে যাবেন?
যারা ব্যস্ত শহরের কোলাহল থেকে দূরে কিছুদিন প্রকৃতির মাঝে কাটাতে চান, তাদের জন্য মাইতা তৈম একটি আদর্শ স্থান। এখানে আপনি প্রকৃতির নিস্তব্ধতা অনুভব করতে পারবেন, পাহাড়ি মানুষের সরল জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং মাতামুহুরী নদীর পাশে বসে হারিয়ে যেতে পারবেন এক অনন্য অভিজ্ঞতায়।
স্থান: মাইতা তৈম চূড়া, আলীকদম, বান্দরবান।🌟 যা দেখবেন: মাতামুহুরী নদী, পাহাড়ি গ্রাম, আদিবাসী সংস্কৃতি, এবং পাহাড়ি প্রকৃতি।🗺️ যাওয়ার সময়: শীতকালে এই জায়গাটি ভ্রমণের জন্য আদর্শ।
0 Comments